রমণা কালী মন্দির আমাদেরও মন্দির

রমণা কালী মন্দির আবার মাথা উঁচু করে সনাতনীদের অস্তিত্ব জানাবে। মোদী সরকারের প্রশংসা বাংলাদেশে।

বাংলাদেশের ঢাকায় বিখ্যাত রমণা কালী মন্দির যার কথা ইতিহাসের পাতায় আজীবন লেখা থাকবে। সেই রমণা কালী মন্দির যেখানে মা জাগ্রতা বলে সবাই মানত করেন। সেই বিখ্যাত মন্দিরটি 1971 সালে পাকিস্তানের বাহিনী ভেঙে দেয়। আসলে বেছে বেছে হিন্দুদের যেমন নিধন করছিলো সেদিনের সেই রাজাকাররা তেমনিই একে একে গুঁড়িয়ে দিচ্ছিলো সনাতনীদের মন্দির, উপাসনাস্থল।
কোনোও বাড়িতে আক্রমণ করে একদিকে যেমন হিন্দু পুরুষদের খুন করেছিলো আর মহিলাদের ধর্ষণ করে খুন বা অপহরণ করেছিলো অন্যদিকে সেই ঘরের মধ্যে থাকা ঠাকুরের মূর্তি এবং তুলসীমঞ্চ পা দিয়ে ভেঙে ফেলেছিলো।
সেই সময়ের অত্যাচার অমানবিক বললেও কম বলা হবে। যাইহোক সেই খান সেনা এবং রাজাকারদের লক্ষ্য ছিলো সনাতনীদের খতম করা, সেই লক্ষ্যেই তারা রমণা কালী মন্দির আক্রমন করে এবং গুঁড়িয়ে দেয়।
বাংলাদেশ পরে স্বাধীন হয় কিন্তু রমণা কালী মন্দির নিয়ে কেউই কিছু করেনি।
এদিকে ভারতবর্ষে ক্ষমতায় থাকা কংগ্রেস সরকার বা অন্য কোনো সরকারই এই বিষয়ে মাথা ঘামাননি।
কিন্তু মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই বিষয় নিয়ে ভাবতে শুরু করে।
এরপর প্রায় ন কোটি টাকা দেওয়া হয় ওই মন্দির পুনর্নির্মাণ করার জন্য।
আজ সেখানে আবার মাথা উঁচু করে দাঁড়ালো সেই সেদিনের গৌরবময় রমণা কালী মন্দির।
শুধু ভারতবাসী হিসাবে নয় একজন সনাতনী হিসাবেও সবাই গর্ব অনুভব করবেন কারন একদিন ওই রমণা কালী মন্দির এই দেশেরই সনাতনীদের পূজোর জায়গা ছিলো।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here